কুমিল্লা নিউজ।।
কুমিল্লায় সিগারেট বাকিতে না দেয়া দোকানি হত্যা মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে নিহতের বাবা মো. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে মূল আসামি দুই ভাইসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে তিতাস থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মানিক হত্যাকাণ্ডের হোতা বাহাউদ্দিনকে তিতাস উপজেলার জগতপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ওসি কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, ‘মামলার পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাহাউদ্দিনকে আমরা জগতপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে তাকে আদালত পাঠালে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে।’
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারেও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
ঘটনার দিন নিহতের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘প্রতিবেশী ভূঁইয়া বাড়ির বাহাউদ্দীন আমার স্বামীর কাছে সিগারেট বাকি চায়, কিন্তু দোকানে সিগারেট না থাকায় আমার স্বামী বলেন- সিগারেট নাই। এতে বাহাউদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হলে পরে বাহাউদ্দীন বাড়ি চলে যায়।
‘কিছুক্ষণ পর সে (বাহাউদ্দীন) ঘর থেকে তার বাবার সামনেই দা হাতে তার আপন ভাই জালাল উদ্দীনকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমার স্বামীকে কোপাতে আসে। শুরুতে প্রতিবেশীদের বাধার মুখে তারা ফিরে গেলেও পরে আবারও ছুরি নিয়ে এসে দোকানে ঢুকে জালাল আমার স্বামীকে জাপটে ধরে আর তার ভাই বাহাউদ্দীন গলায় ছুরি মেরে পালিয়ে যায়।’
তিনি জানান, এর আগেও তারা মানিকের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়ে অনেক টাকা জমিয়েছে। আর সেই টাকা চাইতে গিয়ে কয়েকবার মারধরের শিকারও হয়েছেন তার স্বামী।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পরপরই মুমূর্ষু অবস্থায় মানিককে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page